রোববার (১৪ মে) দুপুরে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে গাছচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোট দুজন মারা গেছেন। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “আমার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব এখনো চলছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।”
রোববার সকাল থেকেই কক্সবাজার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রচণ্ড বেগে বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। জোয়ারের পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বসবাসরত পর্যটন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন জানান, সকাল ১০টার পর থেকে প্রচণ্ড বেগে দমকা হাওয়া বইছে। একই সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা পর্যন্ত উপকূলের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন হোটেল এবং আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আরও ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।