ক্যালেন্ডারের পাতা অনুযায়ী বর্ষা মৌসুমের দ্বিতীয় মাস শ্রাবণের মাঝামাঝি পার করছে প্রকৃতি। বৃষ্টির দাপটে এ সময়ে প্রকৃতিতে যে ‘প্রশান্তি’ মেলার কথা, গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমে উল্টো জনজীবনে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। তবে সোমবার (২৯ জুলাই) থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কমেছে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ। সামনের দিনে বৃষ্টিপাত আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকেই মেঘলা রয়েছে রাজধানী ঢাকার আকাশ। আকাশজুড়ে বিচরণ করছে কালো মেঘের দল। সেই সঙ্গে হচ্ছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। বইছে বাতাস। এছাড়া সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল, বনানী, বারিধারা এলাকার পথঘাট দেখেও সোমবার রাতে বৃষ্টির বার্তা মিলেছে। এতে আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমায় রাতের আবহাওয়া ছিল স্বস্তিদায়ক।
অন্যদিকে, বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবিকার জন্য ঘরের বাইরে বের হওয়া রাজধানীবাসী। অনেকে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন আশপাশের ছাউনির নিচে। কেউ কেউ ছাতা মাথায় গন্তব্যের উদ্দেশে পথ চলছেন।
সোমবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আগামী পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে ৫৫ মিলিমিটার। ওইদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর ও দিনাজপুরে, ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।