‘আমাদের ১০ নম্বর জার্সিটা রেখে দেওয়া উচিত। পরবর্তী বিশ্বকাপেও সে (মেসি) খেলতে চায় কি না, সেটার জন্য অপেক্ষা করা উচিত।’ কাতারে শিরোপা জেতার পর আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির খেলা প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। এছাড়া সতীর্থরাও বলেছিলেন, মেসিকে অবসর নিতে দেবেন না তারা। তবে এবার ফুরোল সব সম্ভাবনা। মেসি জানিয়ে দিলেন, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তাকে আর দেখা যাবে না বিশ্বকাপের মঞ্চে। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে লুসাইলের মাঠে সেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার মুহূর্তটা নিয়েই কাটিয়ে দিতে চান অনাগত দিনগুলো।
২০২৬ সালে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোতে বসবে পরবর্তী ফিফা বিশ্বকাপ। ততদিনে তার বয়স হবে ৩৯। এই বয়সে যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই বিশ্ব আসরে প্রতিনিধিত্ব করা কঠিন। মেসিও বাস্তবতা জানেন। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে এই মুহূর্তে চীনে আছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। সেখানে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইটান স্পোর্টসকে পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলা প্রসঙ্গে মেসি বলেন, আমি মনে করি না। এটাই ছিল (কাতার বিশ্বকাপ) আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমি দেখব পরিস্থিতি কেমন হয়। তবে পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলছি না।
ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতেছিলেন, একের পর এক সাফল্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তবে একমাত্র খেদ বলতে ছিল সেই বিশ্বকাপের বহু আরাধ্য সোনালি ট্রফিটা। ২০১৪ বিশ্বকাপে ট্রফিটার খুব কাছাকাছি গিয়েও মেসিকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। তবে ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে ঈশ্বর হতাশ করেননি ফুটবল জাদুকরকে। কাতার বিশ্বকাপে নিজে যেমন দুরন্ত ছন্দে থেকেছেন, দলকেও নিয়ে গেছেন সাফল্যের শিখড়ে। হাত উঁচিয়ে বিশ্বকে দেখিয়েছেন প্রাপ্তির খাতায় বাকি নেই আর কিছুই।
দারুণ ছন্দে থেকে দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন মেসি। চলতি বছরের ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে ফেবারিট হিসেবেও দেখা হচ্ছে মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে নাম লেখানো আর্জেন্টাইন তারকাকে।
এর আগে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে নিয়ে স্ক্যালোনি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় মেসি পরের বিশ্বকাপও খেলবে। তবে সেটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। আগামী দিনে ওর ফিটনেস, খেলার প্রতি আগ্রহ বুঝিয়ে দেবে মেসি আর কত দিন খেলতে চায়। তবে ওর জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা। মেসি যদি পরের বিশ্বকাপেও খেলে তাহলে তার থেকে ভাল কিছু হবে না।’