বৃহস্পতিবার (১৬ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডরদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
আগামী নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো নির্দেশনা বা মতামত ছিল কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা তো কারও নির্দেশনা শুনব না। আমাদের নির্দেশনা আমাদের কনস্টিটিউশন এবং আমাদের গঠনতন্ত্র, যা আমরা অনুসরণ করি। আমাদের গণতন্ত্রের বিকাশ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত। তবে আমাদের দেশে নির্বাচনের যত সংস্কার হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এবং তার উদ্যোগে হয়েছে। এমনকি নির্বাচনের জন্য একটা আইনও সংসদে পাস হয়েছে।”
বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী মত দিয়েছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে খুব ‘মিনিংফুল’ এবং ‘প্রডাক্টিভ’ আলাপ-আলোচনা করেছি। এখন তারা কী ভাবছে, এটা তাদের বিষয়। তবে বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসুক, এটা তারা চায়। তারা চাচ্ছে বাংলাদেশে সব নিবন্ধিত দলের একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।”
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো পরামর্শ ছিল কি না বা ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের উদ্যোগ কী থাকবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা (বিএনপি) এখানে মাঝেমধ্যেই আসে। আমরা তা দেখতে পাই এবং শুনতে পাই। তারা তো চুপিচুপি আসে। গোপনে গোপনে আসে। জানান না দিয়ে আসে। তবে আমরা কিন্তু ‘ওপেন ইনভাইটেশনে’ জানান দিয়ে এসেছি।”
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।