আাগামী ১২ জুলাই রাজধানীতে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অপরদিকে, নগরবাসির জান-মাল নিরাপদে রাখতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইটের সামনে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এই সমাবেশে প্রায় দেড় লক্ষ নেতাকর্মীর উপস্থিতির মধ্যদিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিবে বলে বর্ধিত সভায় বলেছেন নগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশ সফল করতে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ১৯ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নগর আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ‘১২ জুলাই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্ব-স্ব ইচ্ছায় দলে দলে এই সমাবেশে যোগদান করবে। একইসঙ্গে সমাবেশে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য সবাইকে সর্তক থাকার নির্দেশ দেন নেতৃবৃন্দ।
সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতারা নিজ নিজ এলাকা থেকে নির্ধারিত সংখ্যায় লোকসমাগমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমাবেশ সফল করার ঘোষণা দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, ও গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জগলুল কবির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মতিন ভূইয়া এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী, ড. খন্দকার তানজির মান্নান।
এছাড়াও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলুসহ মহানগর ও বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, ১২ জুলাইয়ের শান্তি সমাবেশ অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে জনসমুদ্রে রূপ নেবে। এদিন দেড় লক্ষাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে গুলিস্তান-নবাবপুর, দৈনিক বাংলা মোড়, মুক্তাঙ্গন-জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকা শুধু আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে। একইসঙ্গে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে দেবে দেশবাসি আগামী নির্বাচনে আবারও ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে জয়যুক্ত করবে।