সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে নতুনভাবে প্রকাশিত ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় দৈনিক বাংলার প্রকাশক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের এমন মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “আসলে বিএনপি তো চায় দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এবার সেই চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হস্তে দমন করবে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির কোন নেতা কি বলল, এতে কিচ্ছু আসে যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। তাদের বর্জন সত্ত্বেও যেভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদেরই তো তারা পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬-৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এসেছিল, সেই রোহিঙ্গারা এখনো আছে। ওরা এখন বাংলাদেশি হয়ে গেছে। ১৯৯১-৯২ সালে আবার রোহিঙ্গারা এসেছিল, যখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সেই রোহিঙ্গাদের বহুজন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না যে, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হোক। কারণ বিএনপির সঙ্গে যে জঙ্গিগোষ্ঠী আছে তাদের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রিক্রুট করার উর্বর ক্ষেত্র হয়েছে। এ জন্য উনারা প্রকৃতপক্ষে চান না এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা চেষ্টা করছি, কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছি এবং অনেক অগ্রগতিও আছে। ইনশাআল্লাহ এই সমস্যার সমাধান হবে।”