মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি
৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে ৯ জন সাংবাদিক বাংলাদেশ সফরে আসেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের একাত্তরের রাখি বন্ধন অটুট আছে। রক্তের রাখি বন্ধন আমরা ভুলি না, কখনো ভুলতে পারি না।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই স্মৃতিভরা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারত ছিল বিশ্বস্ত আশ্রয়দাতা। ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক রেখে আমাদের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। তারপরও একটা কথা মনে রাখবেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু আরেকজন আপনাদের নেই। এটা ভারতকে মনে রাখতে হবে। ভারতের সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব। নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্ব আছে। বন্ধুত্বের বিকাশও হচ্ছে।”
আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য কতটা কঠিন হবে—ভারতের সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, “আমরা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়। থার্ড টার্ম অতিক্রম করে চতুর্থ টার্মের জন্য আমরা নির্বাচনে যাবো। গতবারের চেয়ে আরেকটু টাফ হবে। একটা ব্যাপার হলো কস্ট অব লিভিং সামাল দিতে ব্যর্থ হলে ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশ্নে দ্বিধা নেই। সবকিছু মিলিয়ে ভারত তো আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। কিন্তু আমাদের পাশে আছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ছিটমহল বিনিময়, এখানে এতো শান্তি পূর্ণ ছিল। এটা একটা বিরাট অর্জন, এর কৃতিত্ব আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবশ্যই দিতে হবে। তারপরও আমাদের কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যেমন পানি। এ বিষয়গুলো আছে। সেটা আলোচনার মধ্যে আছে, আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা আমাদের পাওনাটা পাব। যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর সমাধান করতে হলে বন্ধুত্ব রাখতে হবে, আলোচনা করতে হবে। আলোচনা টেবিলে করতে হবে। সেটা আমরা বিশ্বাস করি।”