সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঢাকা সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আজ (১৫ জুলাই) বনানীর ঢাকা শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইইউ মিশনের কাছে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা।
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে ৯ সদস্য বিশিষ্ট দলের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা সংবিধান লঙ্ঘন মেনে নেব না। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এবং মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ”
সংসদ ভেঙে যাওয়া পূর্ববর্তী সংসদ নির্বাচন সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় অনুষ্ঠিত হবে। এরূপ সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করতে পারবেন না।
নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা বৈশ্বিক ধারা অনুসরণ করবে বলে জোর দিয়ে কাদের বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে।”
তিনি আরো বলেন, “সংসদ ভেঙে দেওয়া, সরকারের পদত্যাগ বা তত্বাবধায়ক সরকারের কোনো প্রশ্নই আসে না।”
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল বৈঠকে সংলাপ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি।”
প্রতিনিধি দলের অবস্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই ইইউ-এর প্রতিনিধি দলের চাওয়া।”
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং তারানা হালিম।
এর আগে, সকালে প্রথমে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে এবং এরপরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ মিশন।