দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অচিরেই নির্বাচন দরকার। গত ১৬ বছর নিজেদের লোকজনকে লুটপাটের গণতন্ত্র দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে জনগণের গণতন্ত্র হরণ করেছিলো তারা। এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির আহমেদ রিজভী।শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারকে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে উপজেলার দুধল ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই সভা হয়। এর আগে তিনি উপজেলার সুন্দরকাঠী গ্রামে শহিদ আরিফুর রহমান রাসেলের কবর জিয়ারত করেন।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছ, যা পেত সবই খেয়ে ফেলতো। বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসা ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১৭ লাখ কোটি-ই পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে শেখ হাসিনা রক্ত পিপাসু, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হাজার হাজার মানুষ খুন করেছে।রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে নিজের বাবার জমিদারী মনে করতেন। তাই তিনি (শেখ হাসিনা) নিজের ইচ্ছেমত দেশ পরিচালনা করেছেন, ব্যাংক লুট করেছে। বিরোধী মতের উপর খুন, গুম, নির্যাতন চালিয়েছে। এখন ভারতে পলাতক অবস্থায় থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বিএনপির দুই নেতাকে হত্যা করিয়েছে। তাই ফ্যাসিবাদ পুনরায় যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে বলে জানান তিনি।আমরা বিএনপি পরিবারের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসির হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন তালুকদার প্রমুখ।সভার শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা-সহমর্মিতা জানিয়ে বরিশাল বিভাগের ৩১টি শহিদ পরিবারকে উপহার তুলে দেন রিজভী। জিয়া পরিবারের উদ্যোগে ইতিমধ্যে দেশের ২৮টি জেলার দেড়শ শহিদ পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।