বুধবার (৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চারজন সংসদ সদস্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দেশে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই স্বাধীন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আপনাদের ওয়েস্টমিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে সামরিক শাসকদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের। সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতো এবং রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা করতো।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোজ্যতেল আসতো। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এই পণ্যগুলোর আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এই পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব।”
ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা এ উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে সংসদ সদস্যরা বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়।
তারা উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।
অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।