বিশ্বব্যাপী তো বটেই, বাংলাদেশেও রয়েছে সাংবাদিকতা পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বিশাল সুযোগ। এসব কারণে সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে ‘ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া’র ওপর স্নাতক কোর্স চালু হয়। সেটিই এখন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগ। দেশবরেণ্য নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আবদুল্লাহ আল-মামুন এই বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা।
সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার বিস্তৃত। সৃজনশীল এই পেশায় যুক্ত হয়ে মেধা ও পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করলে সহজেই নিজের খ্যাতি দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে পাঠদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিভাগ একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে চায় বলে জানান বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. অলিউর রহমান।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় ও উদ্ভাবনী ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে পাঠদান-প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল সাংবাদিকতা বিভাগের। স্বাভাবিকভাবেই বাসায় বসে ক্লাসে যোগদানের সুযোগ ছিল শিক্ষার্থীদের। কিছু ক্ষেত্রে সেই সুযোগ এখনো চালু আছে। এ ছাড়া লার্নিং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট (এলএমএস) পদ্ধতির সুবাদে সব ধরনের আবেদন ও যোগাযোগ নিজের সুবিধামতো সময়ে বাসায় বসে সম্পাদন করা যাচ্ছে। এ ছাড়া ই-লাইব্রেরি থেকে চাহিদা অনুযায়ী ই-বুক আর ই-রিসোর্স সুবিধাও পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
দেশের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়, সে জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর বিশেষ ছাড়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, সহোদর, স্বামী-স্ত্রী কোটায় আংশিক এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। এ ছাড়া ভর্তির পর পরীক্ষার ফলের ওপর দেওয়া হচ্ছে বিশেষ বৃত্তি।
ভর্তির যোগ্যতা: চার বছর মেয়াদি, অর্থাৎ ৮ সেমিস্টার ‘জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন’ প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ ২.৫০ বা ও-লেভেলে ৫টি বিষয় এবং এ-লেভেলে ২টি বিষয়ে পাস হতে হবে। বিস্তারিত জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়েরhttps://green.edu.bd/ ওয়েবসাইটে।
তথ্য সূত্র আজকের পত্রিকা