নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসের ওপর আমাদের শরীরের সুস্থতা অনেকটাই নির্ভরশীল। একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং হাসিখুশি রাখে, তেমনি কিছু খাবার স্বাস্থ্যের অবস্থা করুণ করে এর স্থায়ী ছাপ ফেলতে পারে । সুতরাং সুস্থতার জন্যই চিনে নিতে হবে সেসব খাবার, যেগুলো থেকে দূরে থাকলে যৌবন ও সৌন্দর্য দীর্ঘদিন ধরে রাখা যাবে। রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন জানাচ্ছেন বিস্তারিত।
চিনি
ত্বকের জন্য সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ খাদ্য হলো চিনি। বয়স বাড়াতে এর দায় সবচেয়ে বেশি। এরা কোলাজে এবং ইলাস্টিন ধ্বংস করে ত্বককে বয়স্ক করে ফেলে। এর পাশাপাশি এরা অকালেই আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় আর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে হলে চিনিতে ভরপুর ক্যান্ডি বারের বদলে বরং মিষ্টি কোনো ফলের দিকে হাত বাড়ান।
উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের খাবার
ময়দার তৈরি সাদা রুটি, পাস্তা, কেক ইত্যাদি এমন সব খাবার, যা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন বেড়ে যায়। এ কারণে এসব খাবার খেলে বাড়তে পারে ব্রণের উপদ্রবও। ত্বকের বারোটা বাজিয়ে এরা কম বয়সেই চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলে।
ক্যাফেইন
ক্যাফেইন একধরনের ডাই-ইউরেটিক। এটা পানিশূন্য করে দিতে পারে সহজেই। তা ছাড়া এটা শরীরে কর্টিসল উৎপাদনও বাড়ায়, যাকে বলা হয় স্ট্রেস হরমোন। বেশি কর্টিসল মানেই দ্রুত বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হওয়া।
অ্যালকোহল
যেকোনো রকমের অ্যালকোহল শরীরকে পানিশূন্য করে দেয় আর ত্বককে করে তোলে প্রাণহীন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াকরণের ফলে খাবারের উপকারিতা কমে যায়। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়াম এবং চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা বয়স বাড়িয়ে তোলে।
ভাজা খাবার
তেলে ভাজা খাবার যতই মুখরোচক হোক না কেন, তা শরীরে ফ্যাট ইনটেক যেমন বাড়ায়, তেমনি বাড়ায় অয়েল বিল্ডআপ। এর পাশাপাশি ভাজা খাবারের ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে বেশি। ফলে ত্বকে দেখা যায় ব্রণের উপদ্রব।
লবণ
বিশেষ করে আয়োডিনযুক্ত লবণ মোটেই ত্বকের জন্য ভালো নয়। লবণ কোষের স্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বেশি লবণ খাওয়া তো অবশ্যই অস্বাস্থ্যকর। এ কারণে খাদ্যে লবণের মাত্রা রাখুন পরিমিত।
রেড মিট
রেড মিট বা লাল মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার কারনিটিন, যা রক্তনালিকার দেয়াল শক্ত করে তোলে। ফলে কম বয়সেই বুড়িয়ে বানিয়ে তোলে।
আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার এবং রং
এদের তো পুষ্টিগত কোনো উপকারিতা নেই-ই, বরং অ্যালার্জির উদ্রেক করতে পারে অনেকের শরীরে। অনেক সময়ে আবার এসব রাসায়নিক শরীরে জমা হয়ে থাকতে পারে। এর ফলে বার্ধক্য এগিয়ে আসে আরও দ্রুত।