ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে শুরু হলো বিআরটিসির বাস চলাচল।
আজ (সোমবার) বেলা ১১টা থেকে প্রাথমিকভাবে আটটি দ্বিতল বাস দিয়ে শুরু হলো এ কার্যক্রম। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী এর উদ্বোধন করেন। এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কার্যক্রম চালু করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চললেও যাত্রীদের কাছ থেকে বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হবে। আপাতত টোলের টাকা ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না। ফার্মগেট প্রান্তের খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা।
উত্তরার জসীমউদ্দীন এভিনিউ পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া ৪০ টাকা। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থার কারণে বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও থাকছে না।
এটি উদ্বোধনের ফলে বিআরটিসি বাস ব্যবহারকারী লোকাল যাত্রীরাও এখন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। টোলের টাকা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করলেও এর জন্য ভাড়ার অতিরিক্ত কোনো টাকা যাত্রীদের গুণতে হবে না। রুট অনুযায়ী সাধারণ ভাড়া পরিশোধ করলেই হবে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ওইদিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ৭৯টি বাস চলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। তবে নানা জটিলতায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকারের এ সংস্থাটি।
বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিটি বাসকে ১৬০ টাকা টোল দিতে হলেও খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকাই থাকছে। আর জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রুটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা দাঁড়াচ্ছে। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও হবে না।