শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
No menu items!
বাড়িজাতীয়ভোক্তার অভিযানে বাধা দিলে ব্যবসায়ী কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ভোক্তার অভিযানে বাধা দিলে ব্যবসায়ী কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

দেশের প্রতিটি বাজারগুলোতে নকল ও ভেজাল কসমেটিকস পণ্যে ভরপুর হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষণ অধিদপ্তর। নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, ভোক্তা অধিদপ্তরের কোনো অভিযানে বাধা দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে ভোক্তা অধিদপ্তরের কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে, এটা খুবই দুঃখজনক। পরবর্তীতে যেসব বাজারে অভিযান পরিচালনা হবে, সেখানে কোনো ঝামেলা হলে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, দেশ নকল ও ভেজালে ভরে গেছে। এমন কোনো কসমেটিকস নেই যা নকল হচ্ছে না। অনেক দেশের ভালো কিছু ব্র্যান্ডকেও নকল করা হচ্ছে। সেগুলোতে এমন সব কেমিকেল ব্যবহার হচ্ছে, যেগুলোতে ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।

সফিকুজ্জামান বলেন, কাপড়ে ভেজাল বেশি হয় না, কিন্তু কসমেটিকসের অবস্থা ভয়াবহ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। গত বছর একটা মিটিংয়ে কিছু ফাইন্ডিংস পেয়েছিলাম। এতে দেখা গেছে, কসমেটিকস মূলত প্যাকেজাত হয়, খোলা বিক্রি হয় না। কিন্তু প্যাকেটজাত পণ্যগুলোতে বিএসটিআইয়ের কোনো মোড়ক থাকে না।

তিনি বলেন, কসমেটিকসের বড় একটা অংশই আমদানি হয়। কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে, যে পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আসছে, সেগুলোর কোথাও আমদানিকারকদের কোনো তথ্য নেই। এমনকি খুচরা বাজার থেকে কিনতে গেলে বিএসটিআইয়ের কোনো সিল থাকে না। প্রতিটা পণ্য দেশে আসলে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকতে হবে। দামটাও সেভাবেই নির্ধারণ হবে।

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কিছু পণ্য অনেক বিক্রি হয়, এর মধ্যে কসমেটিকস অন্যতম। কসমেটিকস সারা বছর যা বিক্রি হয়, ঈদেই তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু ঈদকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা নতুন করে মূল্য বাড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে একই পণ্যের ওপর একাধিক ট্যাগ ব্যবহার করে। দোকানের পেছনে একটা জায়গা থাকে, সেখানে নিয়ে ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ করা হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান নিয়মিত চলবে। কোনো ধরনের নকল, ভেজাল বা মূল্যবৃদ্ধি হলে অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তথ্য সূত্র: ঢাকা পোস্ট

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবতার সেবায় কালিয়াকৈর গ্রুপ

টিভিতে আজকের খেলা