কমিটির সদস্য এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, আনিসুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম ও ২০২৩ সালের বাজেট অধিবেশনের কার্যাদি নিষ্পন্নের জন্য সময় বরাদ্দ ও অধিবেশনের স্থায়িত্বকাল নিয়ে আলোচনা হয়। শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৫টায় এবং ১ জুন বিকেল ৩ টায় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে মর্মে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপিত হবে। ৪ জুন থেকে ২৪ জুন ২০২৩ পর্যন্ত মোট ৪০ ঘণ্টা বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ জুন অর্থবিল পাস ও ২৬ জুন বাজেট পাস হবে।
এরপর ঈদুল-আজহার জন্য সংসদ অধিবেশন মুলতবি হয়ে ২ জুলাই আবার অধিবেশন শুরু হবে। সপ্তাহখানেক চলার পর বিল পাসের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশন সমাপ্ত হবে। এ বিষয়টিসহ অধিবেশনের সময় ও কার্যদিবস সম্পর্কিত যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষমতা স্পিকারকে প্রদান করা হয়।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৮৬টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ১ হাজার ৫৫৪টি প্রশ্নসহ মোট ১ হাজার ৬৪০টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৩২টি। বেসরকারি সদস্যদের নিকট থেকে কোনো বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। পূর্বে অনিষ্পন্ন বেসরকারি বিলের সংখ্যা ৮টি। ২২টি সরকারি বিলের মধ্যে কমিটিতে পরীক্ষাধীন ১১টি, পাসের অপেক্ষায় ৪টি ও অধিবেশনে উত্থাপনের অপেক্ষায় ৭টি।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম। এতে সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।