শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
No menu items!
বাড়িজাতীয়দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, বিএনপি-জামায়াত চায়নি : প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, বিএনপি-জামায়াত চায়নি : প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, এটা বিএনপি-জামায়াত চায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “মানুষকে পদদলিত রাখা, অন্ধকারে রাখা, শোষণ করা আর নিজেরা অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া—এটাই বিএনপির চেষ্টা।”

রোববার (১৬ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত অধ্যক্ষ সম্মেলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সামরিক শাসকরা অস্ত্র তুলে দেয় মেধাবীদের হাতে, তাদের অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করার শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল।”

শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটা জিনিস বিশ্বাস করতেন—শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি গঠন সম্ভব না। এজন্য তিনি আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন এবং সেভাবে শিক্ষার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি ১ লাখ ৬৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করে দেন। ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করে দেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে শিক্ষকদের জন্য ১০০ টাকা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ টাকা ভাতা দেওয়া শুরু করেন। জাতি গঠনের জন্য এটা ছিল দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত।”

সরকারপ্রধান বলেন, “একটি সরকারের টানা ১৪ বছর ধারাবাহিকতার কারণে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কেবল সরকারের ধারাবাহিকতার জন্য শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষকদের নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা আসি তখন দেখি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ ছিল না। ১৯৯৬  সালে যখন ক্ষমতায় আসলাম তখন এসেই ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলাম কৃষি গবেষণা খাতে। ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলাম শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা খাতে। সেসময় ১২ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করে দিলাম। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১/১১-এর ইমার্জেন্সি আসার পর আমাকেই আগে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে, গণস্বাক্ষর পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আন্তর্জাতিক চাপও তৈরি হয়। তারা বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিতে। কখনো ঘাবড়াইনি, আত্মবিশ্বাস ছিল দেশের মানুষের ওপর। নানা প্রলোভন দেওয়া হয়। নির্বাচন করবেন না, আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় রাখা হবে—এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বলেছিলাম আমাকে এসব লোভ দেখিয়ে লাভ নেই।”

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবতার সেবায় কালিয়াকৈর গ্রুপ

টিভিতে আজকের খেলা