সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজধানীতে পদযাত্রা করছে বিএনপি। একই দিনে দেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উন্নয়ন পদযাত্রাও রয়েছে। এ কারণে সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি কমেছে। তবে সড়কে বেশি দেখা গেছে রিকশা, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত গাড়ি।
অন্যদিকে, গণপরিবহন কম থাকায় ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন রিকশাচালকরা। তাদের ইচ্ছামতোই ভাড়া নির্ধারণ হচ্ছে। একই পরিস্থিতি চলছে মোটরসাইকেল বা রাইড-শেয়ারিংয়েও। সেখানে অ্যাপের পরিবর্তে মৌখিক ভাড়ায় চলছে। এতে পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল, বিজয়নগর ও কাকরাইল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বিজয়নগর এলাকায় কথা হয় হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি যাবেন ফকিরাপুল। বিজয়নগর থেকে ফকিরাপুল মোড়ে যেতে অন্যদিন ২০ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া লাগে। আজ ৬০ টাকার কমে কেউ যেতে রাজি হচ্ছে না।
নাজমুল হোসেন যাবেন রামপুরা। সড়কে গাড়ি কম থাকায় রিকশাযোগে যেতে চাচ্ছেন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষার পরও তিনি রিকশা পাননি। নাজমুলের অভিযোগ, রামপুরার ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা হলেও আজ ১২০ টাকার কমে কেউ যেতে রাজি হচ্ছেন না।
কামাল মাহমুদ যাবেন মহাখালী। এজন্য অ্যাপস ওপেন করে বাইক পাননি। অ্যাপসে বাইকের ভাড়া ১৩৮ টাকা দেখানো হলেও কোনো চালক অ্যাকসেপ্ট করেননি। বাধ্য হয়েই চালকের মৌখিকভাবে নির্ধারণ করা ২৫০ টাকায় মহাখালী যেতে হয় তাকে।
কামাল মাহমুদ বলেন, গাড়ি নাই, রাস্তা ফাঁকা। এরপরও ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীর তুলনায় গাড়ি কম হওয়ায় ভাড়া ইচ্ছেমতো নেওয়া হচ্ছে।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন রিকশাচালক ও বাইকাররা। সুমন নামে এক বাইকার বলেন, আজ আন্দোলন চলছে দুই দলের। এরমধ্যে রিস্ক হতে পারে। এসব রিস্ক নিয়েও আপনার গন্তব্যে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভাড়া কিছু বেশি হতেই পারে।
আজহার আলী নামে একজন রিকশাচালক জানান, রাস্তায় দুপুর বেলায় রোদ বেশি, গাড়িও কম। সবাই ক্লান্ত। এ অবস্থায় দু-পাঁচ টাকা বেশি দিলে ক্ষতি কী, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গাবতলী থেকে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা শুরু হয়েছে। বিএনপির এই পদযাত্রা গাবতলী, টেকনিক্যাল মোড়, মিরপুর ১ , মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্ত্বর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা (আগারগাঁও), বিজয় সরণি, কারওরান বাজার, এফডিসি, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল (শাপলা চত্ত্বর), ইত্তেফাক মোড় এবং দয়াগঞ্জ হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হবে।
অন্যদিকে বিকেলে রাজপথে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজধানীতে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করবে দলটি। ৩টায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে সমাবেশ করবে তারা। এরপর শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে