আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই লাখ নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম কেনার প্রকল্প প্রস্তাবটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা-একনেকে ওঠেনি। মঙ্গলবার সভাশেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভার আজকের কার্যতালিকায় ছিল না। পদ্ধতিগত আরও কিছু কাজ শেষ করে তা আগামীতে বিবেচনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে কোনো কিছু জানতে চাননি।
তবে, সভায় প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের ব্যয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন বাড়াতে জোর দিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।
এদিকে মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন না হলে, পরিকল্পনা অনুযায়ী দেড়শো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং আয়োজন করা কঠিন হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে বারবার এমন দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু ৮ হাজার ৭শ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাবিত এ প্রকল্প গত প্রায় তিনমাসেও পাস হয়নি। আজ দেড়মাস পর অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকেও ওঠেনি প্রকল্পটি।
তবে, আজকের একেনেক সভায় অন্য যে প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে দেড় বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ নির্ভর প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল প্লাজা, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সড়ক নির্মাণ খরচ ও সময় বেড়েছে।
এছাড়া ১০ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১১ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থেকে করিমগঞ্জের মচিখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণেই ব্যয় হবে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বিশ্বমন্দার শঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশে কৃষি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স খাত ভালো অবস্থানে আছে। তাই মন্দার আঁচ দেশের অর্থনীতিতে প্রকট হবেনা বলে প্রত্যাশা সরকারের নীতি নির্ধারকদের।