শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
No menu items!
বাড়িজাতীয়আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় আর বিএনপি তা ধ্বংস করে : শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় আর বিএনপি তা ধ্বংস করে : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় আর বিএনপি তা ধ্বংস করে। আমাদের বৃক্ষরোপণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

আজ (বুধবার) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তার পরবর্তী দুই বছর এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। ২০১৩ সালে সরকার উৎখাতের আন্দোলনের নামে মানুষকে যেমন হত্যা করা…তাছাড়া বাস, ট্রাক, গাড়ি, রেল, লঞ্চ, সেগুলো আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া আর বৃক্ষ নিধন করা হয়। লক্ষ লক্ষ বৃক্ষ কেটে ফেলে দেয় জামায়াত-বিএনপি। আমরা যেখানে গাছ লাগিয়েছে সেগুলো তারা ধ্বংস করেছে। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্যের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালনের জন্য ১৯৮৪ সালে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেয় এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূল দল আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেকটা সদস্য বৃক্ষরোপন করবে। আমাদের নির্দেশ ছিল এবং সেই নির্দেশনা আমরা এখনও পালন করে যাচ্ছি।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই
শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব, তা থেকে দেশকে আমরা মুক্ত করতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। যে পদক্ষেপগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা সবুজ আচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই তিনি সেখানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করেন। বৃক্ষরোপণের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যে ঝাউ বন সেটি জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের দ্বীপ অঞ্চল, বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানে প্রত্যেক প্রজাতির পশুপাখি জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করে দিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালের আরেকটি কাজ করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পার্বত্য এলাকা এবং চরাঞ্চলে হেলিকপ্টার দিয়ে বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও আমাদের এয়ারফোর্স, নেভি, কোস্টগার্ড, আর্মি, সকলের প্রতি নির্দেশ রয়েছে প্রত্যেকের নিজের জায়গায় ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করবে। সেটা তারা করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্লাস্টিক এখনো ব্যবহার হয়, তবে একটা সুখবর হলো পাটের থেকে এমন ধরনের ব্যাগ এবং জিনিস তৈরি হচ্ছে। সেটা আমাদের একজন বিজ্ঞানী মোবারক সাহেব আবিষ্কার করেছেন। সেগুলো পরিবেশ দূষণ করবে না। এগুলো মাটির সাথে মিশে যাবে। এগুলো যাতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হয়, ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত করা হয়েছে। পাট আমাদের সোনালী আঁশ। পাট থেকে আমরা পরিবেশবান্ধব অনেক কিছু তৈরি করতে পারি। যা আমাদের পরিবেশকে আরও সুরক্ষা দেবে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন হেক্টর উর্বর ভূমি অবক্ষয় ঘটছে। যার ফলে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ হুমকির মুখে পড়ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তচূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ একটা ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের ভূমি সম্পদ খুব সীমিত।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার। অনুষ্ঠান শেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবতার সেবায় কালিয়াকৈর গ্রুপ

টিভিতে আজকের খেলা