হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসরা এখনও বসে আছে, তারা আবারও সুযোগ পেলে বাংলাদেশকে আক্রমণ করবে।স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে আসলে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন থেকে তাদের যে কোন ষড়যন্ত্র আমাদেরকে রুখে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন ২০২৪ সালে জনগণ আরেকটা অভ্যুত্থান দেখেছে। এই অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়েছে। কিন্ত তার দোসর এখনো রয়েছে। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে আসবে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন থেকে তাদের যে কোন ষড়যন্ত্র আমাদেরকে রুখে দিতে হবে। এখানে গণতন্ত্র ছাড়া ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে না। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো।শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে র্যালি পূর্ব সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।সভাপতির বক্তব্য মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি আজকের র্যালি প্রমাণ করবে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশ প্রেমিক সৈনিক ও জনতার সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সেদিন পরাজিত করেছিল ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে। সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ৭ নভেম্বর ছিল গণতন্ত্র মুক্তির দিন, ৭ নভেম্বর ছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন, আধিপত্যবাদকে পরাজিত করার দিন। এদিন নতুন বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠাতার দিন।তিনি বলেন, ১৭ বছর পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ দেশের সব রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। দেশকে করেছিল একটি মাফিয়া রাষ্ট্র। তাদের সহযোগিদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা ফোকলা করে দিয়েছে। ওরা আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি পতিত আওয়ামী লীগ।বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সঞ্চালনায় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, শ্রমিক দলের সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।