ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা) আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৪০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৯৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৫৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চট্টগ্রামে এক, ঢাকা উত্তর সিটির হাসপাতালে দুই ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি হাসপাতালে পাঁজজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্য পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন। পুরুষদের একজনের বয়স ১১ থেকে ১৫ বছর, একজনের বয়স ২৬ থেকে ৩০ বছর, একজনের ৪১ থেকে ৪৫ বছর এবং দুজনের ৫৬ থেকে ৬০ বছর। নারী একজনের বয়স ১১ থেকে ১৫, একজনের ২১ থেকে ২৫ এবং একজনের ৩০ থেকে ৩০ বছর। এ নিয়ে চলতি মাসের ১৫ দিনে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিভাগে ১১৯, চট্টগ্রামে ৫৬, ঢাকা বিভাগে ২৩৮, ঢাকা উত্তরে ২৩৬, ঢাকা দক্ষিণে ১৪৮, খুলনায় ৭৪, ময়মনসিংহে ৪৬, রাজশাহীতে ৬১, রংপুরে ৬ এবং সিলেট বিভাগে ১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের ১৫ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৭৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন। তার মধ্যে ১৪ জন মারা যান। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হন ৩৩৯ জন। মারা যান তিনজন। মার্চে ভর্তি হন ৩১১ জন। মারা যান পাঁচজন। এপ্রিলে ভর্তি হন ৫০৪ জন। মারা যান দুজন। মে মাসে ভর্তি হন ৬৪৪ জন। মারা যান ১২ জন। জুনে ভর্তি হন ৭৯৮ জন। মারা যান আটজন। জুলাইয়ে ভর্তি হন ২ হাজার ৬৬৯ জন। মারা যান ১২ জন।আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের তুলনায় ওই মাসে অনেক বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬ হাজার ৫২১ জন। মারা যান ২৭ জন। এরপর সেপ্টেম্বরে ভর্তি হন ১৮ হাজার ৯৭ জন। মারা যান ৮০ জন। অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন। মারা যান ১৩৪ জন।ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। এ বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। এর আগে ২২ সালে মারা যান ২৮১ জন। ২০২১ সালে মারা যান ১০৫ জন। ২০২০ সালে করোনার কারণে তেমন একটা ডেঙ্গুর প্রভাব বোঝা যায়নি। তবে ২০১৯ সালে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়