নরসিংদীর রাযপুরায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় পূণ্যসহ নরসিংদীতে একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় সাদেক (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামসুল আরেফিন এ তথ্য জানান। আটককৃত চালকের সহযোগী সাদেক সিলেটের জৈন্যতাপুর উপজেলার চিকনাগোল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি গ্রামের মছন মিয়ার ছেলে। তার বাবাও পেশায় একজন ড্রাইভার।সংবাদ সম্মেলনে শামসুল আরেফিন জানান, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে রবিবার রাত সাড়ে ১১টা দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শিবপুর উপজেলার মুনসেফেরচর এলাকার ইটাখোলা মোড়ে অবস্থান করছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বিপুল পরিমাণে অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী কর ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ঢাকা সিলেট মহসড়ক হয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের ওই টিমটি ভৈরবের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ডিবি পুলিশের টিমটি রায়পুরা উপজেলার রায়পুর এলাকার লাল মিয়ার ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌছলে একটি কাভার্ড ভ্যানকে ফিলিং স্টেশনে দাঁড়ানো দেখতে পায়। এসময় কাভার্ড ভ্যানের ভিতরে কি আছে চালককে জিজ্ঞেস করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে গাড়ি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণে অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী কর ও শুল্ক ফাঁকিতে কোটি টাকার মালামাল জব্দ করে
চালকের সহযোগী সাদেককে আটক করে নরসিংদী ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি জানিয়েছে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ওই সকল প্রসাধনী ও ঔষধ জাতীয় পন্য সিলেটের সীমান্ত এলাকা থেকে ঢাকার চকবাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তবে এসকল প্রসাধনী সামগ্রী ও ঔষধ জাতীয় পন্যের কোন চালান কপি বা রশিদ দেখাতে পারেনি আটককৃত ব্যক্তি। আটককৃত ভারতীয় এ সকল প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কাভার্ড ভ্যানসহ আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা হতে পারে।