রাত পোহালেই শুরু ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। একই সাথে শুরু হবে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। এবারের প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।
আগামীকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেল বইমেলার সবশেষ প্রস্তুতির ব্যস্ততা। প্যাভিলয়ন ও স্টলগুলো সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা।
বাংলা একাডেমির তথ্য অনুসারে, এবারের মেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকবে ১৯৯টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি। থাকবে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন ও ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল। ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া প্রতি শুক্র ও শনিবার থাকবে ‘শিশুপ্রহর’। শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা।
পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বই মেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিনে বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এবারের বইমেলা হবে পলিথিনমুক্ত। এ ছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে ‘জুলাই চত্বর’। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হবে গণ-অভ্যুত্থানের চিত্র।
মেট্রোরেলের কারণে এবারের বইমেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। চারটি প্রবেশপথ থাকবে। তাহলে টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট।
এদিকে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার নিরাপত্তা ও পরিকল্পনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কশিনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, বইমেলায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা রয়েছে। কোনো বইয়ে উস্কানিমূলক কথা যেন না থাকে তা দেখতে বাংলা একাডেমিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য বাহিনীও বইমেলার নিরাপত্তায় সহযোগিতা করবে। একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে। রাতেও সিনিয়র অফিসার থাকবে। পুরো বইমেলাকে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।