বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সাংবাদিকের স্মৃতিভাষ্যে বঙ্গবন্ধু’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার প্রশ্ন, ভারত কিংবা পাকিস্তানে যখন সহিংসতা হয় কিংবা আশপাশের অন্য দেশে যখন সহিংসতা হয়, সেখানে রাষ্ট্রদূতরা এ রকম বিবৃতি দেন না। আমাদের দেশে কেন এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে? আসলে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের কেউ কেউ এগুলো দেওয়ার জন্য উসকানি দেন। সুতরাং রাষ্ট্রদূতদের এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে তাদের যারা ‘প্রোভোক’ করে তারা এই ক্ষেত্রে দায়ী। তবে অবশ্যই কূটনীতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের আচরণ, সেই ক্ষেত্রেও ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা প্রয়োজন।”

বিএনপি মহাসচিবের দিনাজপুরে দেওয়া বক্তব্য ‘সরকার পদত্যাগ না করলে আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে না’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে তো এটি স্পষ্ট যে ওনারা সহিংসতা করতে চান। সহিংসতা শুরু করেছেন। সহিংসতা শুরু করলে সরকার বসে থাকবে না। যারা সহিংসতা করবে, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলও জনগণকে নিয়ে মাঠে থাকবে।”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষিত লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ফেসবুকে দেখলাম যে রিজভী সাহেব ঢাকা-১৭ আসনের একজন প্রার্থীর ব্যাপারে বলেছেন যে ‘সে অর্ধপাগল, অর্ধশিক্ষিত’। কোনো প্রার্থীকে এ রকম অর্ধপাগল, অর্ধশিক্ষিত বলা সমীচীন নয়।”
এর আগে ‘সাংবাদিকের স্মৃতিভাষ্যে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর শুধু ঘনিষ্ঠ বললে ভুল হবে, আত্মিক সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিকদের প্রায় সবাইকেই চিনতেন, তাদের ব্যক্তিগত খোঁজখবর রাখতেন। তাদের প্রয়োজনেও তিনি সাড়া দিতেন। বঙ্গবন্ধুর এই অসাধারণ গুণটি ছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেই বিদগ্ধ সাংবাদিকদের লেখনীর সংকলন এই বইটি আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের জন্য তো বটেই, যারা সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের জন্যও অত্যন্ত উপযোগী।”