সৌদি আরবে ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৩ জনই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এখনও আরও পাঁচ বাংলাদেশির খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা। এ ঘটনায় আহত ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা হলেন- গাজীপুরের ইমাম হোসেন রনি, নোয়াখালীর শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হেলাল, কুমিল্লার মামুন মিয়া, রাসেল মোল্লা, চাঁদপুরের রুকু মিয়া, কক্সবাজারের আসিফ এবং লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন।
সৌদি আরবের কনস্যুলার জেনারেল জানিয়েছেন, ওই বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিল, যাদের মধ্যে ৩৫ জন ছিলেন বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ১৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দূতাবাস। তবে এখনও নিখোঁজ আছে পাঁচ বাংলাদেশি।
কনস্যুলার জেনারেল নিশ্চিত করেছেন, ওমরাহযাত্রী পরিবহনের বাসটি সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে দুর্ঘটনায় পড়ে কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল আখবারিয়া জানিয়েছে, ওমরাহযাত্রীদের নিয়ে বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কার দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে যাত্রীবাহী বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায়। এর পর গাড়িতে আগুন ধরে যায়। সৌদি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল।