ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের রক্ত দিতে হাসপাতালে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ।
ওড়িশার বালেশ্বরে হওয়া স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই শনিবার (৩ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই অনেকে রক্ত দানে ছুটে আসেন।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ জেনা সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসার ব্যাপারে বলেছেন, ‘মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসছেন। আমি অনেকের কাছ থেকে অনুরোধ পাচ্ছি, এটি ভালো। দুর্ঘটনার পরই স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে আমাদের অনেক সহায়তা করেছেন।’
স্বতস্ফূর্তভাবে মানুষ রক্ত দিতে আসার ব্যাপারে ডক্টর রবি দিয়োরা নামের এক ব্যক্তি টুইটারে লিখেছেন, ‘এজন্যই ভারত বসবাসের জন্য অন্যতম সেরা একটি দেশ। সংস্কৃতি, নীতি এবং সহায়তার মনোভাব ভারতীয়দের রক্তে আছে। যারা রক্ত দেওয়ার জন্য লাইন ধরেছেন তাদের সবার জন্য অনেক গর্বিত।’
পাবন মালোহোত্রা নামে একজন লিখেছেন, ‘বালেশ্বরের মানুষের জন্য গর্বিত এমন সংকটময় সময়ে তাদের নিঃস্বার্থতা ও সহানুভূতির জন্য। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর রক্তদাতাদের দীর্ঘ সারি আমার মনকে ভরিয়ে দিয়েছে। আপনাদের এই রক্তদান জীবন বাঁচাবে এবং যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করবে।’
এদিকে শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় ঘটে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা। শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটল সেটি এখনো জানা যায়নি।