বুধবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
No menu items!
বাড়িআন্তর্জাতিকসুদানে শরণার্থী ক্যাম্পে হামলায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি

সুদানে শরণার্থী ক্যাম্পে হামলায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি

সুদানের দারফুর অঞ্চলের শরণার্থী ক্যাম্পে দুই দিনব্যাপী হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ জন শিশু ও ৯ জন ত্রাণকর্মী রয়েছেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারী ক্লেমেনটিন এনকুয়েটা-সালামি জানান, সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF) এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা উত্তর দারফুরের জামজাম ও আবু শোরুক শরণার্থী ক্যাম্পসসহ এল-ফাশের শহরে হামলা চালায়।
হামলার সময় জামজাম ক্যাম্পে পরিচালিত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করছিলেন ৯ জন ত্রাণকর্মী। এদের সবাই হামলায় নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক মাহমুদ বাবাকার ইদরিস এবং রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক প্রধান আদম বাবাকার আবদাল্লাহ।
সুদানের চিকিৎসকদের ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার পেছনে RSF দায়ী। তারা এ ঘটনাকে ‘অমানবিক ও বর্বরোচিত’ বলে উল্লেখ করেছে।
রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল নিশ্চিত করেছে, এ হামলায় তাদের ৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি বলছে, হামলাটি ছিল সুপরিকল্পিত ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশে চালানো হয়। হামলায় জামজাম ক্যাম্পের কেন্দ্রীয় বাজারসহ শত শত অস্থায়ী ঘরবাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ বলছে, জামজাম ও আবু শোরুক ক্যাম্পে ৭ লাখের বেশি শরণার্থী বসবাস করেন, যাদের অধিকাংশই দারফুরে চলমান সংঘর্ষের কারণে ঘরছাড়া হয়েছেন। এই অঞ্চলটি ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তা সালামি বলেন, ‘এ ধরনের নৃশংস হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে সুদানে আবারও সংঘর্ষ বেড়েছে। রাজধানী খার্তুম সেনাবাহিনীর দখলে যাওয়ার পর RSF দারফুরের এল-ফাশের শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে একাধিক হামলা চালায়। এল-ফাশের বর্তমানে দারফুরের একমাত্র রাজ্য রাজধানী, যা এখনও RSF নিয়ন্ত্রণে যায়নি।
সূত্র : আল জাজিরা

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবতার সেবায় কালিয়াকৈর গ্রুপ

টিভিতে আজকের খেলা