এই বাজারটি বাংলাদেশে পাইকারি কাপড়ের অন্যতম প্রধান একটি মার্কেট। বিশাল এ কাপড়ের মার্কেট আগুনে অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স, আলজাজিরা, এপি, আল আরাবিয়া নিউজ, আরব নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভিসহ প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা ও সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
দ্য গার্ডিয়ান তাদের প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম করেছে, “বাংলাদেশ অগ্নিকাণ্ড: ঢাকার বিশাল কাপড়ের বাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে শত শত দমকলকর্মী”। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালের এ অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দোকান মালিক ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবাজার বাজার ও পার্শ্ববর্তী তিনটি বাণিজ্যিক এলাকা প্রায় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শিরোনাম করেছে, “বাংলাদেশের রাজধানীর জনপ্রিয় পোশাক বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীর একটি জনপ্রিয় পোশাকের মার্কেটে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনা সদস্যরা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে রয়টার্স বলছে, “দুর্বল নীতি ও সেগুলোর প্রয়োগ না থাকায় শিল্প সংশ্লিষ্ট নানা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে শত শত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস শিরোনাম করেছে “বাংলাদেশের ঢাকার বঙ্গবাজার কাপড়ের বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে”। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে বড় পোশাকের একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অপর সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় “বাংলাদেশ বিশাল কাপড়ের মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে দমকল, সেনাবাহিনী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
বঙ্গবাজার মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেট, বঙ্গ ১০ কোটি মার্কেট, আদর্শ মার্কেট—এই চারটি মার্কেট এক জায়গায় হওয়ায় মূলত সবগুলোকেই লোকজন বঙ্গবাজার মার্কেট হিসেবে ডেকে থাকেন। এই চারটি মার্কেটে প্রায় তিন হাজার দোকান রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।