ঋতুচক্রে এখন হেমন্তের বিদায়ের সুর। দরজার আড়ালে উঁকি দিচ্ছে শীত। গাছের পাতায় শিশিরের খেলা। গাঁদা আর চন্দ্রমল্লিকার গায়ে ভোরের মিঠে রোদের স্পর্শ। শীতকে আমন্ত্রণ জানাতেই হয়তো প্রকৃতির এমন আয়োজন।
এখনও তেমন করে লাগেনি শীতের ছোঁয়া। এদিকে ভোরের শিরশিরে হাওয়ায় এখনও হেমন্তের যাব না, যাব না, ভাব। শীতের সঙ্গে হেমন্তের কোথাও একটা বন্ধুতা রয়েছে। বন্ধুতা না থাকলে কি আর পরস্পরের সঙ্গে এমন খেয়ালিপনা চলে!
প্রকৃতিতে শীত, হেমন্তের খেলা চললেও কর্মজীবনে এমন ফুরসত নেই। কুয়াশার চাদর সূর্যের খরতাপ আড়াল করতে পারলেও, প্রশমিত করতে পারে না শ্রমজীবী মানুষের অবিরাম ছুটে-চলাকে। তাইতো প্রকৃতি যখন বন্ধুর সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে তখন সাধারণ কৃষক ব্যস্ত কাজে।
জাঁকিয়ে শীত না পরলেও ঠাণ্ডার হাত থেকে নিস্তার পেতে এখনই শুরু হয়ে গিয়েছে শীতের গরম কাপড়ের বাজার।
শীতের প্রস্তুতি তো চলছে। তবে শীত কবে আসবে? আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এ বছর ভারী শীত পরতে দেরি হবে।
কারও জন্য শীত একটি উপভোগ্য ঋতু হলেও অনেকের কাছে শীত মানে বাড়তি খরচ, বাড়তি কষ্ট। রাজধানীর ফুটপাত কিংবা রেলওয়ে স্টেশনে যে ছিন্নমূল মানুষদের বাস, তাদের জন্য শীত নিয়ে আসে বাড়তি দুর্ভোগ।