একে এম শিশির কালিয়াকৈরঃ
ফুলের চাহিদা সারাবছর কমবেশি থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এই মাসের বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র বিক্রি হয় লাখ লাখ টাকার ফুল। এবার গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার ফুল চাষিরা ভালো দামে ফুল বিক্রি করতে পেরে ফুটেছে মুখের হাসি। গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার মাঝুখান গ্রামে ১৪ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছিলেন আকিদুল ইসলাম। তার বাগানে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়েছে ফুল। বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসের আগেই বাগানের অধিকাংশ ফুল বিক্রি হয়ে গেছে। কলি অবস্থায় যে ফুলগুলো রয়েছে তা বিক্রি করবেন মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে। ইতোমধ্যে তার বাগানে অর্ধকোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছেন বলে জানান। ওই ফুল বাগানের মালিক আনিছুর রহমান বনেন, ১৪ বিঘা জমিতে এবার ফুল লাগানো হয়েছে। অনন্য বছরের থেকে চাহিদা অনেক বেশি দামও বেশি কয়েকগুণ। বাগানে সাদা, লাল, গোলাপিসহ ফুটেছে ৬ রঙের গোলাম। এছাড়াও চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের ফুল ফুটেছে। গাজীপুরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে ফুল নিতে আগে থেকেই যোগাযোগ করে রেখেছিলেন ফুল বিক্রেতারা। সারা বছরই ফুল বিক্রি হলেও ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে ফুল বিক্রির প্রধান মৌসুম। আগে যেসব গোলাপ ৮ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হয়েছে ওই একই গোলাপ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা। লষ্করচালা এলাকার বাসিন্দা আলভি হোসেন বলেন, বাড়ির পাশেই বানিজ্যিক ভাবে ফুলচাষ হচ্ছে। এতে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হচ্ছে তেমনি স্থানীয়ভাবে ফুলের চাহিদাও মিটে যাচ্ছে। আগে ফুলের প্রয়োজন হলে দূরে গিয়ে ফুল সংগ্রহ করতে হয়েছে কিন্তু এখন হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে। রতনপুর গ্রামের নাহিদ হোসেন বলেন, ফুল অনেক ছিল বিক্রি করে এখন প্রায় শেষ। প্রতিদিন আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাগানে ফুল দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ফুলের দোকান দেবে ছেলেরা। তাদের অনেকেই এসব ফুলের বাগান হতে ফুল নিয়েছে। কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এবছর উপজেলার ১.৫ হেক্টর জমিতে ফুল চাষে যুক্ত রয়েছেন ৪০-৪৫ জন চাষি। আর গোলাপ বিক্রির জন্য গড়ে উঠেছে ফুলের বাজার। চলতি বছর ফুল চাষিরা প্রায় ১কোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছে অনেকেই। বিকেল হতে এসব দোকানে ভীড় করছে বিভিন্ন বয়সী ক্রেতারা।