এবার বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বেশি। এটি দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম বাজেট। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন করে নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (৩১ মে) প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া দেশে চলমান মূল্যস্ফীতিকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে ৬০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এছাড়া এনবিআর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। আর কর বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক থেকে এ রাজস্ব আদায় হবে।
নতুন বাজেটে দেড় লাখ কোটি টাকা আয়কর হিসেবে আদায়ের পরিকল্পনা করছে রাজস্ব বোর্ড। এরই ধারাবাহিকতা করমুক্ত আয়সীমা ও কর জাল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, করজাল বাড়ানো ও করের আওতা বাড়ানোয় বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে এবারের বাজেটে। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ালে রাজস্ব কিছুটা কমবে, তবে অন্য খাত থেকে ঘাটতি পূরণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে রাজস্ব বোর্ড।