আবেদনটি বিবেচনায় নিলে একজন গ্রাহককে সিঙ্গেল বার্নার চুলার জন্য ১৩৭৯ টাকা এবং ডাবল বার্নার চুলার জন্য ১৫৯২ টাকা দিতে হবে।
আবেদন বলা হচ্ছে, সিঙ্গেল বার্নারের জন্য ৭৬ দশমিক ৬৫ ঘনমিটার এবং ডাবল বার্নারের জন্য ৮৮ দশমিক ৪৪ ঘনমিটার বিবেচনা নিয়ে মাসিক বিল নির্ধারণের বিষয়টি আসছে। তবে গ্যাসের ইউনিট প্রাইস বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব করা হয়নি।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, গ্যাসের দাম বাড়ানো নয়, শুধু নন মিটার গ্রাহকদের গ্যাসের ব্যবহার পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। গ্যাসের ইউনিট প্রাইস আগের মতোই থাকবে।
হারুনুর রশীদ আরও বলেন, “যাদের প্রি-পেইড মিটার থাকে, তখন তারা কনসাসলি অনেক কম গ্যাস ব্যবহার করে। মিটার যখন থাকে না তখন আনলিমিটেড গ্যাস ব্যবহার করে। আমরা এটা বলার চেষ্টা করেছি।”
এ ব্যাপারে তিতাসের আবেদন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন। তিনি বলেন, “বিষয়টি এখনও তালিকভুক্ত করা হয়নি।”
বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড একটি সিঙ্গেল বার্নারের জন্য মাসিক ৯৯০ টাকা এবং একটি ডাবল বার্নারের জন্য ১,০৮০ টাকা চার্জ করে।
বর্তমানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিতাস গ্যাসের মোট ২৮ লাখ ৫৭ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। তাদের মধ্যে, ২৫ লাখ ২৫ হাজার মিটারবিহীন ও ৩ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার কাভারেজের আওতায় রয়েছে।
এদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেছেন, রেগুলেটরি কমিশন মিটারবিহীন গ্রাহকদের জন্য গড় গ্যাসের পরিমাণ যতটুকু নির্ধারণ করেছে, বাস্তবে অনেক গ্রাহক সে পরিমাণে গ্যাস ব্যবহার করেন না।
এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বর্তমানে গ্যাসের জন্য গ্রাহকরা যে পরিমাণে বিল পরিশোধ করে তা তাদের প্রকৃত ব্যবহারের চেয়েও বেশি। রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি দেখেছে, সিঙ্গেল বার্নার ব্যবহারকারী মাসে গ্যাস ব্যবহার করে ৪৫ ইউনিটের; ডাবল বার্নার ব্যবহারকারীর বেলায় তা ৫০ ইউনিট।