দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার ঠেকাতে তৎপর হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির গোয়েন্দাদের মাধ্যমে নেওয়া হবে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ও অর্থের উৎসের তথ্য।
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি বলছে, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহারই হতে পারে দুদকের দুর্নীতিবিরোধী বড় পদক্ষেপ। তবে লোক দেখানো হয়, নিতে হবে কার্যকর ভূমিকা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ১১ কোটি। নিয়ম অনুযায়ী, ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ৮ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। সে হিসেবে পুরো নির্বাচনের সর্বোচ্চ ব্যয় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয় ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। অতীতে কোনো কোনো এলাকায় ভোটার প্রতি ৫ হাজার টাকা পর্যন্তও ব্যয় হয়েছে। এই টাকার বড় একটি অংশই কালো টাকা।
দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় যারা কালো টাকা ব্যবহার করবেন, তাদের তালিকা করা হবে। যাচাই করা হবে হলফনামার তথ্য ও প্রার্থীর আয়কর নথি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করা গেলে দেশে দুর্নীতি অনেক কমে আসবে। এজন্য লোক দেখানো নয়, দুদককে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবেবেসরকারি সংস্থার হিসেবে, প্রতি জাতীয় নির্বাচনে মোট খরচের হার গড়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।