সরকারের পদত্যাগসহ দশ দফা দাবিতে দেশের (ঢাকা এবং রংপুর বাদে) বিভিন্ন স্থানে গণমিছিল করেছে বিএনপি। এর মাঝে পঞ্চগড়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।
শনিবারের দেশিব্যাপী কর্মসূচিতে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার দমন-পীড়ন করছে। গত দশ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ থেকে সরকার পতনের দাবিসহ ১০ দফা ঘোষণা দেয় বিএনপি। প্রথম কর্মসূচি ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলও ঘোষণা করা হয় সমাবেশ থেকে।
কেন্দ্রঘোষিত এ কর্মসূচি সফল করতে পঞ্চগড়ে গণমিছিল করতে গেলে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে একজন নিহত এবং পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ আহত হয়।
এছাড়া ঝালকাঠিতে গণমিছিল শুরুর সময় পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ বেরিকেডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিএনপির গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১০ দফা পূরণের কথা জানান।
বরিশাল সদর রোডের বিএনপি কার্যালয় থেকে গণমিছিল বের হয়। নেতৃত্বে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
১০ দফা দাবিতে সিলেটে বিএনপির গণমিছিলে অংশ নেন নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানান তারা। কিশোরগঞ্জে শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শুরু হয় গণমিছিল।
নাটোরের গণমিছিল থেকে আটক সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি জানানো হয়। দাবি আদায়ে রাজপথে থাকার কথাও জানান তারা।
প্রায় এক যুগ পরে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সমাবেশ করতে পেরেছে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি। পুরাতন বাসস্টেন্ড থেকে বের হওয়া গণমিছিল ট্রাফিক পয়েন্টে শেষ হয়, হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
এছাড়া, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট, জামালপুর, পিরোজপুর, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলাতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় বিএনপি।