সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ও উজানে ভারতীয় এলাকা থেকে আসা পানিতে তিস্তা ধু ধু বালুচর পানিতে টইটম্বুর হয়ে পড়েছে। এতে তিস্তার চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাদাম, পাট ও মৌসুমী ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে নদী এলাকায় বন্যার আগাম প্রস্তুতি থাকায় ক্ষতির পরিমাণ তেমন হয়নি।
পাউবো ডালিয়া পয়েন্ট সূত্র জানায়, রোববার থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টি মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। পরে রাতে পানি প্রবাহ বেড়ে ভোরের দিকে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এতে ডালিয়ার ভাটি এলাকায় পানি প্রবেশ করে।
নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ। চর এলাকায় চাষাবাদের জন্য বসবাসরত লোকজন গ্রাম এলাকায় চলে আসছেন। নৌকায় করে চরের ফসল নিয়ে আসছেন উঁচু এলাকায়।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “গ্রীষ্ম মৌসুমে তিস্তার মহিষখোচা এলাকায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ভাঙ্গনপ্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।”
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, “তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে। আমরা স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের সবশেষ খবর রাখতে বলেছি। জরুরি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।”