ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিন দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো তৃতীয় কোনো দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করল নেপাল।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান, নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী দীপক খাড়কা এবং ভারতের বিদ্যুৎ, গৃহায়ণ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল উপস্থিত ছিলেন।নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ চীনা সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে বলেন, ‘ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের কাছে নেপাল মাত্র এক দিন বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এরপর ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।চলতি বছরের মে মাসে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল প্রচন্ড ভারত সফরে গিয়ে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে ৩ অক্টোবর এ চুক্তি সই হয়।চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের ভেতরের সঞ্চালন লাইন দিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬ দশমিক ৪ সেন্ট (১০০ সেন্টে ১ ডলার), বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৭ টাকা।এদিকে নয়াদিল্লির এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের মুহূর্তটি ছিল একটি ঐতিহাসিক বিষয়, যা ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলে বিদ্যুৎ খাতে উপ-আঞ্চলিক সংযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট, ইউএনবি।