শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে র্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন যাদৈয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে কাউছার ও তেয়াওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদধর্মপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রাকিব।
তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শুক্রবার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা থেকে কাউছারকে ও চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কাউছার ও ভিকটিম রিয়াজ একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এ সুবাদে কাউছারের বাসায় রিয়াজের যাতায়াত ছিল। এতে কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে রিয়াজের সখ্যতা গড়ে ওঠে। এর মধ্যে কাউছার সন্দেহ করে তার স্ত্রীর সঙ্গে রিয়াজের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি রাকিবকে জানায় কাউছার।
একপর্যায়ে তারা রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইল ফোনে কল করে মান্দারী বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনে ভাড়া বাসায় রিয়াজকে ডেকে নেন কাউছার। এরপর চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে রিয়াজকে অচেতন করা হয়। পরে হাত-পা বেঁধে মাথায় আঘাত ও নাকে-মুখে গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন অভিযুক্তরা। এরপরই তারা দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
এদিকে নিহত রিয়াজের মা খুরশিদা বেগম তার ছেলে অপহরণের বিষয়ে জানিয়ে র্যাবের কাছে সহযোগিতা চান। তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে রিয়াজের সহকর্মী কাউছারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সহযোগী রাকিবের অবস্থান নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারদের চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় র্যাব।