মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল রেঞ্জের হাঁটুভাঙ্গা বিট অফিসের চেকপোস্টের সামনে চেকিংয়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি। এখানে প্রতিদিনই বিট অফিস কর্মকর্তারা কাঠের গাড়ি,লাড়কির গাড়ি,আসবাবপত্রের গাড়িসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে চেকিংয়ের নামে প্রতিনিয়তই তুলছে চাঁদা। প্রতি গাড়ি হতে ৫০-১০০০ টাকা করে নিচ্ছে এই চাঁদা। চাঁদা না দিলে দেয়া হচ্ছে মামলার হুমকিও।আবার কখনো কখনো চাঁদা না দিয়ে গেলে গাড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছে তারা।অনেক সময় চাঁদা কম দিলে গাড়ি আটকিয়ে রাখা হচ্ছে বলে স্থানীয় এক সূত্রে জানা যায়। সরেজমিনে, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে গেলে দেখা যায়,বিভিন্ন গাড়ি থেকে চেকিংয়ের নামে বিট কর্মকর্তারা চাঁদা নিচ্ছে, পরে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এমন দৃশ্যের ভিডিও করতে গেলে বিট কর্মকর্তারা দেখে ফেলে।পরে তারা কৌশলে সেখান থেকে চলে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দিনের বেলা বনকর্মকর্তারা তাদের রুমে বসে থাকে।অন্য লোকদের মাধ্যমে চাঁদা তুলে,আবার অনেক সময় বন কর্মকর্তারা নিজেরাই চাঁদা তুলে।নিয়মিতই দেখা যায় এমন দৃশ্য।তারা সবসময় রাস্তায় দাড়িয়ে থেকে চাঁদা আদায় করে। মাঝে মধ্যে সাংবাদিকরা এলে চাঁদা তোলা বন্ধ থাকে, আবার ২-১ দিন পর থেকে শুরু করে চাঁদা তোলা। বাছের নামের এক ভ্যান চালক বলেন, দিনে-রাতে সবসময় ওরা চাঁদা তোলে। আমরা এখন অতিস্ট হয়ে গেছি।চাঁদা না দিলে মামলার হুমকি দেয়।এই জন্যই চাঁদা দেই।আমরা কখনো ৫০ টাকা, আবার কখনো ১০০ টাকা করে চাঁদা দেয়। আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়া আসলাম নামের এক ট্রাক ড্রাইভার বলেন,আমরা যখনই কোন কাঠের জিনিস নিয়ে যায় তখনই তাদের ৪০০-৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে যেতে দেয় না। স্থানীয়রা আরো জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের আবেদন যে, এখানে যেন স্থায়ীভাবে চাঁদা তোলা বন্ধ হয়। এ বিষয়ে হাঁটুভাঙ্গা বিট অফিসার শাহজালাল মিয়া বলেন,চাঁদা তোলার বিষয়টি আমি জানিনা। রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন,চেকিং হয় এটা জানি তবে চাঁদা তোলার এ বিষয়ে জানি না। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।