বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে খুলনার খালিশপুর এলাকার নতুন রাস্তার মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরে তাকে বেতাগী থানায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে চান মিয়াকে বরগুনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত বছরের আগস্টে উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের মায়ার হাট এলাকায় ইউপি সদস্য শামীম খানের ঘরে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দগ্ধ হন শামীম ও তার স্ত্রী সুচি আক্তার। গুরুতর আহত অবস্থায় পরের দিন সকালে শামীমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট নেওয়া হয়। এর দুই দিনের মাথায় ১১ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর দুই দিন পর, ১৩ আগস্ট শামীমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বেতাগী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দক্ষিণ কালিকাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আ. গনি মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়ার নাম উল্লেখ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বেতাগী থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “ইউপি সদস্য শামীমকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার মূলহোতা চান মিয়া ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।”