দীর্ঘ সতেরো বছর পর কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা পিন্টু। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন।তিনি টাঙ্গাইলের কৃতিসন্তান।মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন।তিনি বলেন, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসলে যাচাই-বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা ৪ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।বিএনপির এই নেতার মুক্তির খবরে সকাল থেকেই কারাফটকে শত শত নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। এ সময় শত শত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান কারামুক্ত বিএনপির এই নেতা।কারাগার সূত্রে জানা যায়, রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। ওই ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।এদিকে, গত ১ ডিসেম্বর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়কে অবৈধ বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্জ এ রায় ঘোষণা করেন।প্রসঙ্গত, আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।