গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার তৃতীয় পর্ব।তৃতীয় পর্বের প্রথম দিনে ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন শেষে ইজতেমা ময়দানে হামলা হতে পারে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা রয়েছে। ভয় দেখিয়ে মুসল্লিদের সমাগম কমানোর জন্য এটি করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা ইজতেমায় হামলা হতে পারে,আমরা এটিকে উড়িয়ে দিচ্ছি না বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুমার নামাজের পর ইজতেমা ময়দানে সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং এ কথা বলেন তিনি।
দুপুরে ময়দানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অস্থায়ী সমন্বয় কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার নাজমুল করিম খান এ কথা জানান।
শুক্রবার দুপুর ১২:১৫ মিনিটে বিশ্ব ইজতেমায় প্রেস ব্রিফিং এ গাজীপুর মহানগরীর পুলিশের কমিশনার ড.নাজমুল করিম খান বলেন, আপনারা হয়তো লক্ষ করেছেন,সামাজিক মাধ্যমে একটি প্রচারণা আছে এখানে হামলা হতে পারে,আমরা এটিকে উড়িয়ে দিচ্ছি না।আমারা এটি নিয়ে কাজ করছি।
এটি হয়তোবা ধর্মপ্রান মুসুল্লিদের ভয় দেখানোর জন্য,যাতে সমাবেশে লোকজন না হয়, সে কারণেও হতে পারে।আমি আপনাদেরকে অনুরোধ রাখবো,ভয় পাওয়ার কিছু নেই,চারদিকে লোক আছে, আমরা প্রহরা রেখেছি, চেকপোস্ট রেখেছি,সিসি ক্যমেরা রেখেছি, ড্রোনের মাধ্যমে লক্ষ্য রাখছি। তিনি বলেন, একটি কাজ আমরা করতে চাই, রাস্তা গুলো খালি রাখতে চাই।কোনো ঘটনা ঘটে, এটা আমরা মাথা থেকে ফেলে দিচ্ছি না।আমরা যেন দ্রুত ইভাকিউট করতে পারি, ইন্টারভিন করতে পারি,সেই ব্যবস্থা সতেজ রাখতে চাই। তিনি বলেন, এই খানে বিশ্বের দ্বিতীয় সমাবেশ।এটা কেন্দ্র করে মুসুল্লিরা এখানে জড়ো হচ্ছেন।আজকে জুমার দিন। পাশাপাশি আজকে সবে বরাত।তাই এটির গুরুত্ব বহন করে।আর গুরুত্ব বহন করার কারণে ধর্মপ্রাণ প্রচুর মুসুল্লি সমবেত হবেন।সমবেত হলে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা পুলিশহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক আছি তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। মাঠে যারা মুরুব্বিরা আছেন, তাদের ভলেন্টিয়ার সার্ভিসের জন্য প্রচুর সংখ্যক নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছেন।তারাও নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন।আশা করি নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি হবেনা।
এ সময় তাবলিগের সূরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ ওসামা ইসলাম বলেন, যে মেসেজ গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে এসব গুজব।আমরা গুজবে কান দিবোনা। পুরো দেশবাসী আসবো।আগামী পড়শু দোয়া হবে।আমরা চাই যেহেতু বর্তমান সরকার একটা বৈষম্য বিরোধী সরকার,প্রতিবছর যেভাবে ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে,এরকম ভাবেই পরিচালনা করতে পারবো।এরকম ভাবে চলতে থাকবে।