বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন আশুলিয়ার বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলের অন্তত ৩০ টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কতৃপক্ষ। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া।এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এসব কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার হামীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল মুসলীম, সেতারা গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিক ৭ দফা দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৩০টি কারখানার কতৃপক্ষ ইতিমধ্যে তাদের কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।শ্রমিকরা জানান, তারা ৭ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। শ্রমিকদের জন্য ৪ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রমিকদের দাবি ছিল ১৫ শতাংশ। এ ছাড়া আরও ৬টি দাবি রয়েছে।দাবিগুলো হলো, ২০২৪ সালের ছুটির টাকা ডিসেম্বরের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে এবং যোগদানের তারিখ থেকে ছুটির টাকা দিতে হবে। তিনদিন ছুটি পাস করলে হাজিরা বোনাস দিতে হবে এবং মেডিকেল ছুটি দিলে কোনোরকম হাজিরা বোনাস কর্তন করা যাবে না। ১০০ শতাংশ গ্রেড প্রদান করতে হবে। রমজান মাসে কোনো জেনারেল ডিউটি করানো যাবে না, ৮ ঘণ্টার পর ডিউটি করালে ইফতারের জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। আন্দোলনরত কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না, আন্দোলনকারী কোনো শ্রমিক বা অন্য কোনো শ্রমিক স্বেচ্ছায় চলে গেলে সেই শ্রমিকের ফিঙ্গার ব্লক বা ক্রসচিহ্ন দেওয়া যাবে না। শ্রমিকরা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিলে তার শেষ কর্মদিবসে সব পাওনাদি নগদ প্রদান করতে হবে।শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, ‘শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতি পালন করায় পর্যায়ক্রমে অন্তত ৩০টি পোশাক কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কতৃপক্ষ। শ্রমিকরা মূলত বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন, তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছেন। তবে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না।’