ঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণে বিশ্বে বাংলাদেশির শহরটির অবস্থান দুইয়ে। আজ ঢাকার বায়ুমান ২৯৫। গতকালের চেয়ে দূষণ বেড়েছে। গতকাল সকালে ঢাকার বায়ুমান ছিল ২৬১। তালিকায় সবার ওপরের শহর আজ ভারতের দিল্লি। কোনো শহরের বায়ুমান ৩০০ হলেই সেখানকার বাতাস দুর্যোগপূর্ণ ধরা হয়। সেখানে আজ দিল্লির বায়ুমান ৬০১।বায়ুদূষণের দিক থেকে বরাবরই শীর্ষ শহরের তালিকায় থাকা পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থান আজ তিনে। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে ঘানার আক্রা এবং ভারতের কলকাতা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার হিসাবে শহরগুলোর বাতাসের এ অবস্থা ছিল। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।সে হিসেবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস গত দুই দিনের মতো আজও খুব অস্বাস্থ্যকর । দূষণ আরেকটু বাড়লেই এটা দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাবে।দূষণে তিনে থাকা লাহোরের বায়ুমান ২৬৬। চতুর্থ অবস্থানে থাকা আক্রার বায়ুমান ২৪৩ আর পাঁচে থাকা কলকাতার বায়ুমান ১৯৪।বায়ুমানের দিক থেকে দূষিত শহরের তালিকায় ছয় থেকে দশে থাকা শহরগুলো হলো, আফগানিস্তানের কাবুল, ইরাকের বাগদাদ, ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের মুম্বাই এবং ইরানের তেহরান।বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।