মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিজ বাড়ি থেকে এক নারী ও তার দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যাকারী সন্দেহে ওই নারীর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার ভোর ৫টার দিকে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানায়, নিহতরা হলেন উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আসাদুর রহমান রুবেলের স্ত্রী লাভলী আক্তার, বড় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোঁয়া আক্তার ও ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কথা আক্তার।
তাদেরকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে লাভলীর স্বামী রুবেলকে আটক করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নিহত লাভলী আক্তার এর ভাই মো. আলম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্বামী রুবেল উপজেলার বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, রুবেল ও লাভলীর ভালোবাসার বিয়ে, দীর্ঘদিন যাবত তারা সুখে শান্তিতে সংসার করে আসছিল। পনের বছর যাবত রুবেল আঙ্গারপাড়া একই গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু বেশ কিছু যাবত সে ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে। গতকাল রাতে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
স্থানীয় বালিয়াখোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, রুবেল অনেক টাকা ঋণ গ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। যার দরুন এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।