শুষ্ক মৌসুমে রাজধানীতে অপরিকল্পিত ভাবেগ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ড্রেনেজ এবংফ্লাইওভার, রাস্তা ঘাট উন্নয়ন ইত্যাদি সেবামূলক বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা-ঘাট খোঁড়া-খুঁড়ির কাজ বেড়ে যায়।
যার ফলে নগরীতে অস্বাভাবিকভাবে ধুলা দূষণ বেড়ে যায়।সম্প্রতি নগরীর বিভিন্নসড়ক- মহাসড়কে ড্রেনেজ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন( ডিএনসিসি)।উক্ত নির্মাণ কাজওচলছে ধীর গতিতে।রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হচ্ছে খোঁড়া-খুঁড়ির মাটি।এতে নগরীতে অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়ছে ধুলাদূষণ। বিশেষ করে নগরীর ফার্মগেট, উত্তরা, ধানমন্ডি এলাকায় রাস্তাখোঁড়া-খুঁড়ির কাজে চরম দূভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদিত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক (একিউআই) ০-৫০ ভাল, ৫১-১০০ সতর্কীকরণ, ১০১-১৫০সহনীয়, ১৫১-২০০অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০খুবঅস্বাস্থ্যকর, ৩০১-৫০০ডিগ্রি সেল সিয়াস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।
বায়ু দূষণের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা মহা নগরীও নারায়নগঞ্জকে দিল্লীর মতো ধোঁয়াশা জনিত দূষণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে।
বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থার ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৯১ টিদেশের ১৬০০ শহরের মধ্যে পরিবেষ্টক বায়ুদূষণের দিক থেকে সব চেয়ে দূষিত ২৫টি নগরীর মধ্যে বাংলাদেশের তিনটি নগরী (ঢাকা, গাজীপুরওনারায়নগঞ্জ) রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদেরমতে, অতিরিক্তবায়ুদূষণেরফলেসর্দি, কাশি, হাঁপানী, এলার্জি, শ্বাসকষ্টজনিতবেড়েযায়।শিশু, বৃদ্ধও অসুস্থব্যক্তিদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় বায়ুদূষণের ফলে তারা বেশিক্ষতিগ্রস্তহয়।